কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মীর সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত পদের প্রায় ২০ শতাংশই খালি রয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এক আরটিআইয়ের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ২৮৫৯টি স্বীকৃত পদের মধ্যে মোট ৫৭০টি পদ খালি রয়েছে। জম্মুর সমাজকর্মী রমন কুমার শর্মা এই আরটিআই করেন। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে আরও জানানো হয়েছে, প্রচুর শিক্ষক পদ খালি। ফলত, পড়ুয়া রয়েছে কিন্তু পড়ানোর শিক্ষক নেই।
অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকসহ ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি ১১০টি জুনিয়র সহকারী পদও পূরণ হয়নি।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন কর্মকর্তা তথা সহকারী রেজিস্ট্রার গুলাম মহম্মদ ওয়ানির দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ৫৬টি অধ্যাপক পদের মধ্যে ৪৭টি পদই খালি। একই ভাবে, ১২০টি সহযোগী অধ্যাপক পদের মধ্যে ৯১টি পদে কোনও শিক্ষক নেই। ৮০টি সহকারী অধ্যাপকের পদও পূরণ করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদেও অনেক ভেকেন্সি রয়েছে। সাতটি অধিকর্তা পদের মধ্যে পাঁচটি পদে কেউ নেই।
বহু বিভাগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে কেউ নেই। বহু শূন্যপদ রয়েছে। কলেজ উন্নয়ন পরিষদের ডিন, ছাত্র কল্যাণের ডিন নেই; অ্যাকাডেমিক সমন্বয়ক, গবেষণা কর্মী ও শারীরবিদ্যার কয়েকটি পদ ও নার্সিং বিভাগে বহু পদ খালি রয়েছে। সঙ্গীত ও শিল্পকলা বিভাগেও কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। এই বিভাগে কোনও অধ্যক্ষ নেই এবং সাতজন সিনিয়র শিক্ষকের বদলে রয়েছেন মাত্র তিনজন।
এখানেই শেষ নয়। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই যুগ্ম রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, সহকারী প্রোগ্রামার, কারিগরি ও প্রশাসনিক কর্মী। শিক্ষক, প্রশাসক, শিক্ষাকর্মীর অভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উচ্চমানের শিক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবা দেওয়া কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
জেড/আরইউএস