কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর নামে ‘মাদক সেবন করে উশৃংখল ও উগ্র আচরণের’ অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত একটার দিকে ‘মাদক সেবন করে হলের নিচতলায় ও ১০৬ নাম্বার রুমে জোরে লাথি দেওয়া এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র হাতে নিয়ে’ অস্বাভাবিক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দায়িত্বরত আনসার ও হলের নিচতলায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মতে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাত একটার দিকে হলে এলোমেলো ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে করতে প্রবেশ করে। শুরুতেই হল প্রভোস্টের রুমে জোরে ধাক্কা দেয়। এরপর ১০৬ নাম্বার রুমে লাথি দেয়। এরপর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে এদিক সেদিক স্প্রে করলে হলের সিনিয়ররা তাকে রুমে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য বলেন, ‘গতকাল রাত একটা ছয়ের দিকে সে এলোমেলো অবস্থায় হেলেদুলে গেট দিয়ে ঢুকে। আমি দেখে এগিয়ে গেলে সে হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দেয়। এরপর প্রভোস্ট স্যারের রুমে জোরে ধাক্কা দেয় এবং পরের রুমেও একইভাবে লাত্তি দিয়ে কে আছে জিজ্ঞেস করে। পরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করতে থাকলে উপর থেকে কয়েকজন এসে তাকে উপরে নিয়ে যায়।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কর্মচারী বলেন, ‘আমি একটা শব্দ শুনতে পাই। দৌড়ে এসে দেখি তার হাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। এরপর বড় ভাইরা ধরে তাকে উপরে নিয়ে যায়।’
১০৬ নাম্বার রুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘উনি দরজায় জোরে লাথি অথবা ধাক্কা দেন। আমরা সবাই ঘুমিয়েছিলাম। তৎক্ষণাৎ সবাই উঠে যাই এবং দরজা খুলে দেখি উনি কেমন আচরণ করতেছে। এরপর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে এদিক সেদিক স্প্রে করতে থাকলে ভয় পেয়ে যাই আমরা। আমরা চাই ভবিষ্যতে এমন কিছু না হোক।’
তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাদক সেবনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত ছিলাম। আমার সাথে কয়েকজন ফ্রেন্ডের দক্ষিণ মোড়ে দেখা হলে ওদের সাথে অটোতে করে হলে ফিরি এবং ওদের সাথে একটা বিষয় নিয়ে রাগারাগি করি। আমি ফায়ার ইস্টিংগার ওদের দিকেই স্প্রে করি। ওদেরকেই গালিগালাজ করি। আমি কোনো রুমে লাথিও দেইনি।’
হল প্রভোস্ট মো. হারুন বলেন, ‘কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি তবে আমি মৌখিকভাবে শিক্ষার্থী এবং দায়িত্বরত গার্ডের কাছ থেকে শুনেছি। আপাতদৃষ্টিতে আমি যতটুকু ভ্যারিফাই করেছি ঘটনা সত্য, সে অসংলগ্ন অবস্থায় ছিল। আমরা বসে আলোচনা করে এর যথাযথ ব্যবস্থা নিব।’