খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা৷ কুয়েট উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ‘মার্চ’ ঘোষণার হুশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় তারা, ‘দফা এক; দাবি এক কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘কুয়েটের ভয় নাই; রাজপথ ছাড়িনাই’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন; ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিয়েছি ত রক্ত; আরও দিবো রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের জন্য রাজপথে দাড়িয়েছিল। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে ফ্যাসিজমকে উৎখাত করা। কিন্তু নতুন এই বাংলাদেশে ছাত্রদের রক্তের উপর যারা প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন, তারাই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং পক্ষপাতের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা করছে। আজ ২ মাস পর কুয়েটে বলা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাকি স্বর্ণের চেইন ডাকাতি করেছে। এসকল ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড থেকে আপনাদের বিরত থাকতে হবে। আপনাদের প্রোফাইল কি সেটি আমরা জানি। কীভাবে রিসার্চ করে আপনারা অধ্যাপক হয়েছেন সেটি কিছুদিন আগে উঠে এসেছিল। অন্যান্যরা আপনারা সাবধান হবেন। কুয়েট ভিসির আর সাবধান হওয়ার সুযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থী ৩৭ জনকে যেভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, কুয়েটের যেই ভিসি তিনি রাজনৈতিক সমতা বিধান করার কথা সেটিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। একটা বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর যেই যোগ্যতা তিনি সেটি হারিয়েছেন। তাই আমরা আজকে বলতে চাই, আপনি নিজে পদত্যাগ করবেন নয়তো রাষ্টপতির নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে কুয়েট ভিসিকে অপসারণ করতে হবে। সবশেষে দুই মাস আগের যেই ঘটনা সেটির পরিপূর্ণ একটি তদন্ত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আকিল বিন তালেব বলেন, কুয়েট ক্যাম্পাস বহিরাগতরা ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক হামলায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বহিরাগতদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে হল বন্ধ করে তাদের বেকায়দায় ফেলেছে। হল বন্ধের সংস্কৃতি আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেখে এসেছি। আমরা এই বাংলার জমিনে আর কোনো হল বন্ধ হওয়ার সংস্কৃতি দেখতে চাইনা। আমরা চাই অতি দ্রুত কুয়েরটের এই উপাচার্য পদত্যাগ করুক নয়তো তাকে বহিষ্কারের জন্য প্রয়োজন হলে আমরা জোড়ালো আন্দোলন করবো।
এছাড়াও মানববন্ধনে সাবেক সমন্বয়কসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়