প্রশ্নঃ কুরবানীর পশু কয় ভাগে কুরবানী দেওয়া যায়?
উত্তরঃ
কুরবানীর পশু যদি উট, গরু বা মহিষ হয় তাহলে ৭ ভাগে কুরবানী দেওয়া যায়। তবে ৭ ভাগের কমে ২, ৩, ৪, ৫ বা ৬ ভাগেও কুরবানী দেওয়া যায়। ৭ এর অধিক শরীক হলে কারও কোরবানী শুদ্ধ হবে না।
ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ১ ভাগে কুরবানী দিতে হবে। এই পশুগুলোর ক্ষেত্রে একাধিক ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে না।
সহীহ মুসলিম শরীফের হজ্ব অধ্যায়ের ৫৯ নং পরিচ্ছেদটি হলো, ‘ভাগে কুরবানী দেওয়া জায়েয এবং একটি উট বা গরুতে ৭ জন শরীক হওয়া যায়’। এই পরিচ্ছেদের ৩০৫৫, ৩০৫৬, ৩০৫৭, ৩০৫৮ ও ৩০৬০ নং হাদীস শরীফে একটি উট বা গরুতে কুরবানীর ক্ষেত্রে ৭ জন পর্যন্ত শরীক হওয়ার ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন।
৩০৫৫ নং হাদীস শরীফঃ
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ الْبَدَنَةَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ.
হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার বছর (৬ষ্ঠ হিজরী) আমরা রাসূলুল্লাহ-এর সাথে প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছি।
৩০৫৬ নং হাদীস শরীফঃ
হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হজ্জের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ-এর সাথে রওনা হলাম। তিনি আমাদেরকে (কুরবানীর ক্ষেত্রে) প্রতিটি উট বা গরুতে সাতজন শরীক হওয়ার নির্দেশ দিলেন।
৩০৫৭ নং হাদীস শরীফঃ
হযরত জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ -এর সাথে হজ্জ সমাপন করি। আমরা সাত শরীকে একটি করে উট বা গরু কুরবানী করেছি।
৩০৫৮ নং হাদীস শরীফঃ
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজ্জ ও উমরা পালনকালে রাসূলুল্লাহ -এর সাথে সাতজনে মিলে একটি উট কুরবানী করেছি। । এক ব্যক্তি জাবির (রা)-কে জিজ্ঞাসা করল, জাযূরে যে ক‘জন শরীক হতে পারে- বাদানাতেও কি অনুরূপ শরীক হওয়া যায়? তখন তিনি বললেন, উভয় তো একই। জাবির (রা) হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা ঐদিন ৭০টি উট কুরবানী করেছি। প্রতিটি উটে ৭জন শরীক ছিলাম।
৩০৬০ নং হাদীস শরীফঃ
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ-এর সঙ্গে তামাত্তু’ হজ্ব করেছি। আমরা ৭ শরীকে মিলে একটি গরু কুরবানী করেছি।
প্রশ্নঃ কুরবানীর গোশত কতদিন খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ
কুরবানীর গোশত যতদিন ইচ্ছা ততদিন সংরক্ষণ করা যাবে এবং তা থেকে খাওয়া যাবে। তবে হাদীস শরীফ অনুযায়ী যদি অভাব বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে কুরবানীর গোশত ৩ দিনের বেশি জমা করে রাখা বৈধ হবে না এবং তা অভাবগ্রস্থ মানুষের মাঝে দান-সদকা করে দিতে হবে।
সহীহ মুসলিম শরীফের কুরবানী অধ্যায়ের ৫নং পরিচ্ছেদটি হলোঃ ‘ইসলামের সূচনালগ্নে ৩ দিনের পরে কুরবানীর গোশত খাওয়া সম্বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা অর্পিত হয়েছিল তার বর্ণনা এবং তা রহিত হওয়া ও যতদিন ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত খাওয়া বৈধ হওয়ার বর্ণনা’। এই পরিচ্ছেদের ৪৯৪২, ৪৯৪৩, ৪৯৪৪, ৪৯৪৫, ৪৯৪৬, ৪৯৪৭, ৪৯৪৮, ৪৯৪৯ ও ৪৯৫২ নং হাদীস শরীফে নূর নবীজী (স.) কুরবানীর গোশত ৩ দিনের বেশি খাওয়া ও জমা করার বৈধতা দিয়েছেন।
৪৯৪২ নং হাদীস শরীফঃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاَثٍ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمْرَةَ فَقَالَتْ صَدَقَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ حِضْرَةَ الأَضْحَى زَمَنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” ادَّخِرُوا ثَلاَثًا ثُمَّ تَصَدَّقُوا بِمَا بَقِيَ ” . فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ يَتَّخِذُونَ الأَسْقِيَةَ مِنْ ضَحَايَاهُمْ وَيَحْمِلُونَ مِنْهَا الْوَدَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَمَا ذَاكَ ”. قَالُوا نَهَيْتَ أَنْ تُؤْكَلَ لُحُومُ الضَّحَايَا بَعْدَ ثَلاَثٍ . فَقَالَ ” إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ مِنْ أَجْلِ الدَّافَّةِ الَّتِي دَفَّتْ فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا ”.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু ওয়াকিদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন দিনের পর কুরবানীর মাংস খেতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) বলেন, আমি বিষয়টি আম্রা (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, তিনি (ইবনু ওয়াকিদ) সত্যই বলেছেন। আমি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আযহার সময় বেদুঈনদের কিছু পরিবার দুর্বল হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তিনদিনের পরিমাণ জমা রেখে অবশিষ্ট মাংসগুলো সা’দকা করে দাও।
পরবর্তী সময়ে লোকেরা বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! লোকেরা তো কুরবানীর পশুর চামড়া দিয়ে পাত্র তৈরী করছে এবং তার মধ্যে চর্বি গলাচ্ছে। রসূলুল্লাহ (স.) বললেনঃ তা কী (এ প্রশ্ন কেন)? তারা বললো, আপনিই তো তিনদিনের অধিক কুরবানীর মাংস খাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি বললেনঃ আমি তো বেদুঈনদের দুরবস্থা দেখে একথা বলেছিলাম। সুতরাং এখন তোমরা খাবে, জমা করে রাখবে এবং সাদাকা করবে।
৪৯৪৩ নং হাদীস শরীফঃ
জাবির (রা.) কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি তিনদিনের উপর কুরবানীর গোশত খাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন। আবার পরবর্তী সময় তিনি বলেছেন, এখন তোমরা খেতে পার, পাথেয় হিসাবে ব্যবহার করতে পার এবং সংরক্ষণ করে রাখতে পারো।
৪৯৫২ নং হাদীস শরীফঃ
বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কবর যিয়ারত থেকে তোমাদের নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যিয়ারত করতে পারো। আর আমি তোমাদের ৩ দিনের অধিক কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা নিজেদের প্রয়োজন অনুপাতে সঞ্চয় করে রাখতে পার। আমি আরো তোমাদের নিষেধ করেছিলাম চামড়া নির্মিত পাত্র ছাড়া অন্যান্য সকল পাত্রে তৈরি নবীয (খেজুর ভেজানো পানি) থেকে, এখন তোমরা যে কোন পাত্র থেকেই পান করতে পারো। তবে যা নেশা সৃষ্টি করে তা পান করো না।
প্রশ্নঃ কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?
উত্তরঃ
যিনি নিসাব পরিমাণ (ইসলামী শরীয়ত নির্ধারিত পরিমাণ) সম্পদের মালিক, তাঁর উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন, স্থায়ী অধিবাসী প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে কুরবানির দিনগুলোতে (১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিললহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত) প্রয়োজনীয় খরচ ব্যতীত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকবে তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। [বাদাইয়ুস সানায়ে‘, ৫/৯৫-৯৬]
নিসাবের পরিমাণ (ইসলামী শরীয়ত নির্ধারিত পরিমাণ)
নিসাব হচ্ছে স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি। আর টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নেসাব হচ্ছে-এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। তবে যদি কারও সোনা-রূপা বা টাকা-পয়সা কোনোটিই পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু যেগুলো আছে তার সবটা মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপার মূল্যের সমান হয়ে যায়, তাহলে তার ওপরও কুরবানি করা ওয়াজিব।
প্রশ্নঃ কুরবানীর পশু কেনার আগে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী?
উত্তরঃ
গৃহপালিত চতুষ্পদ পশুঃ
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ. (সূরা হজ্ব, আয়াতঃ ৩৪)
‘বাহীমাতুল আন’আম’ বলতে উট, গরু, ছাগল, মেষ, দুম্বা ইত্যাদি বোঝানো হয়েছে। [ তাফসীরে ত্ববারী, ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুহসিন তুর্কী সম্পাদিত, ৮ম খণ্ড, ১২ – ১৩ পৃ. ]
পশুর বয়সঃ
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَذْبَحُوا إِلاَّ مُسِنَّةً إِلاَّ أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنَ الضَّأْنِ ”.
হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কমপক্ষে এক বছরের পশু (বকরী) কুরবানী করবে। তবে এটা তোমাদের জন্য দুস্কর হলে তোমরা ছমাসের মেষ-শাবক কুরবানী করতে পার। (সহীহ মুসলিম, ইফাবা, ৪৯২২ নং হাদীস শরীফ)
অভিধানশাস্ত্র এবং ইসলামী ফিকহশাস্ত্রবিদ্গণের মতে, উটের ক্ষেত্রে ৫ বছর, গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে ২ বছর হতে হবে। আর ছাগল, দুম্বা, ভেড়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে ১ বছর হতে হবে। তবে এগুলোর মধ্যে যেটার বয়স ৬ মাস; কিন্তু দেখতে ১ বছরের মতো হৃষ্টপুষ্ট দেখা যায়, সেটা কুরবানী দেওয়া যাবে।
শারীরিক ত্রুটিমুক্ততাঃ
عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ، قَالَ سَأَلْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ مَا لاَ يَجُوزُ فِي الأَضَاحِي فَقَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصَابِعِي أَقْصَرُ مِنْ أَصَابِعِهِ وَأَنَامِلِي أَقْصَرُ مِنْ أَنَامِلِهِ فَقَالَ ” أَرْبَعٌ لاَ تَجُوزُ فِي الأَضَاحِي الْعَوْرَاءُ بَيِّنٌ عَوَرُهَا وَالْمَرِيضَةُ بَيِّنٌ مَرَضُهَا وَالْعَرْجَاءُ بَيِّنٌ ظَلْعُهَا وَالْكَسِيرُ الَّتِي لاَ تَنْقَى ”.
উবাইদ ইবনে ফাইরূয (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি বারা ইবনে ’আযিব (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, কুরবানীর জন্য কোন ধরনের পশু অবৈধ (অর্থাৎ যবাইয়ের অযোগ্য)? তখন তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের মাঝে দাঁড়ান। আমার আংগুলগুলো তাঁর আংগুল হতে ছোট ছিল এবং আমার আংগুলগুলোর গিরাগুলোও তাঁর আংগুলের গিরার চাইতে ছোট ছিল। তিনি চারটি আংগুল দিয়ে ইশারা করে বললেন, ৪ ধরণের পশু কুরবানী করা বৈধ নয়, যথাঃ
১। স্পষ্ট কানা,
২। অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ, যা স্পষ্ট বুঝা যায়,
৩। পঙ্গু, (এমন পঙ্গুত্ব যা তাকে হাঁটতে বাধা দেয়) এবং
৪। এত দুর্বল যে, হাড় বেরিয়ে গেছে।
[ সূত্রঃ আবু দাউদ শরীফ, ইফাবা, ২৭৯৩ নং হাদীস শরীফ ]
প্রশ্নঃ কুরবানী ঈদের ৩ দিনের মধ্যে যদি কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে তাঁর জন্য কুরবানীর বিধান কী?
উত্তরঃ
তাঁর উপর কুরবানী ওয়াজিব। তবে যদি কুরবানীর দিনগুলোতে পশু জবাই করতে না পারে, তাহলে ক্রয়কৃত ওই পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি জবাইয়ের দিনগুলো অতিবাহিত হওয়ার পরে জবাই করে, তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। মূল্য হ্রাস পেলে, যে মূল্য হ্রাস পেয়েছে, সে পরিমাণ অর্থ সদকা করতে হবে।
যদি কেউ কুরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে এবং এ অবস্থায় কুরবানির পশুও ক্রয় না করে, তাহলে তার ওপর কুরবানির উপযোগী একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে থাকে, কিন্তু কোনও কারণে কুরবানী দিতে পারেনি, তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দিতে হবে।
যদি এই ৩ দিনের মধ্যে কুরবানী ওয়াজিব ছিল কিন্তু কুরবানী দেওয়া হয়নি এবং এ অবস্থায় মারা যায়, তাহলে তাঁর পক্ষ থেকে অন্য কারও কুরবানী আদায় করতে হবে না।
[ সূত্রঃ বাদাই’উস সানাই’, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ২৮৮ – ২৯০