রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হলে ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গণ কোরআন বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল ৫ টায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাবি শাখার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হল, নির্মাণাধীন কামারুজ্জামান হলের সামনে, সৈয়দ আমীর আলী হল মাঠ, বঙ্গবন্ধু হল, শের-ই বাংলা হল, বেগম খালেদা জিয়া হলের সামনে ও রহমতুন্নেছা হলের সামনে তারা কোরআন বিতরণ করেছে । তবে কোরআন পর্যাপ্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নাম নিয়ে যাচ্ছেন দায়িত্বশীলরা। তাদের পরবর্তীতে কোরআন পৌঁছে দিবে বলে মন্তব্য করেন তরা।
কার্মসূচি থেকে কোরআন গ্রহণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তমাল উদ্দীন শিবিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ অনেক প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা জানতে পারলাম কিছুদিন আগে আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং বিভিন্ন হলে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর প্রতিবাদে এমন উদ্যোগ নেওয়ার হয়েছে। যেটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক কাজ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য।কোনো ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো সভ্য মানুষের কাজ নয়।
কোরআন গ্রহণকারী আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাফসান জানি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং ছয়টি হলে যে কোরআন পড়ানো হয়েছে তারই প্রতিবাদে রাবি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে গণকোরআন বিতরণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটি অত্যন্ত প্রশংসামূলক একটি কাজ। আমরা উদ্যোক্তাদের মোবারকবাদ জানাই। এর সাথে একটি দাবি জানাই, আমাদের যে ৬টি হলে ও মসজিদে কোরআন পড়ানো হলো তার খুব দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলকদের শাস্তি দেওয়া হোক।
রাবি শিবিরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব বলেন, আপনারা জানেন সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি হল এবং কেন্দ্রীয় মসজিদে একটি কুচক্রী মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দিয়েছে। আমাদের জীবনের চাইতেও মূল্যবান পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়ে আপামর মুসলিমের বুকে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেছে। আমরা এটি বোঝাতে চাই, ছয়টি হল এবং মসজিদে কোরআন পোড়িয়ে আমাদের অন্তর থেকে মুছে ফেলা যাবে না। তাদের এই হীন কার্যক্রমের প্রতিবাদেই আমরা গণকোরআন বিতরণ করছি। যে কেউ এখান থেকে বিনামূল্যে কোরাআন নিয়ে যেতে পারবে। কোনো কুচক্রী মহল যদি মনে করে ৫-৬টা কোরআনের পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিবে, সেটা সম্ভব না। কারণ কোরআন আল্লাহ নিজেই হেফাজতে দায়িত্ব নিয়েছেন।
দীন//বিএন