যে সময়টাতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দিকে তাকিয়ে থাকে দেশ এবং পরিবার। পড়াশোনা করে সে হাল ধরবে পরিবারের, অংশগ্রহণ করবে দেশ বিনির্মাণে। কিন্তু কই আর এসব হলো। তার নিজের জীবনটাই আজ বিপন্ন! সে নিজেই নিজের চিকিৎসার অর্থ সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছেন পরিবারের দিকে, দেশবাসীর দিকে।
বলছিলাম দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অর্থনীতি ১৯ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেল রানার কথা।তার বাসা দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ উপজেলায়।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে। জানা গেছে, গত ২ বছর যাবৎ সোহেল রানা (Ewing Sarcoma) ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথম দিকে প্রায় দেড় বছর দিনাজপুরে আসল রোগ নির্ণয় না হওয়ায় তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। পরবর্তীতে ছয় মাস আগে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা: মো.আরিফুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার ক্যান্সার (Ewing Sarcoma) হয়েছে।
এযাবৎ সোহেল রানার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কেমোথেরাপি বাবদ প্রায় চার লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এখন ডাক্তার অপারেশন এবং অপারেশন পরবর্তীতে ১১টি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা। তার নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই বিশাল অঙ্কের টাকা বহন করা সম্ভব না। তার বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি।
সোহেল রানা আক্ষেপের সুরে বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ার কারণে আমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধব,ছোট ভাই-বোন, বড় ভাই-বোনদের নিকট এবং দেশবাসীর নিকট অর্থনৈতিক সাহায্য এবং দোয়া প্রার্থনা করছি।আপনাদের সহযোগিতায় আল্লাহ তায়ালা হয়তো আমাকে আবারো আপনাদের মতো স্বাভাবিক জীবন দান করতে পারেন।
সোহেলের বন্ধু স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, এই তো সেদিন ২০১৯ সালে আমরা ক্যাম্পাসে আসলাম। শহরে মেসে থাকার সুবাদে সোহেলের সাথে বাসে কিংবা অটো করে ক্লাসে যাই। প্রায় শুক্রবার রাতে খিচুড়ি খাওয়া দাওয়া করি। সোহেলের বিভিন্ন খুঁনশুটিতে চায়ের আড্ডাগুলো কতই না জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠতো। কিন্তু সবই এখন স্বপ্নের মত লাগতেছে।
তিনি আরো বলেন, সোহেল ধর্মীয় চেতনার হওয়ায় অনেক নম্র ভদ্র ছিল। সর্বোপরি আমাদের সবার সাথেই অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রইলো সোহেল যাতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে”।
সোহেলের দিকে শুধু তার মা-বাবা, বন্ধু, ভাই-বোনেরা তাকিয়ে নেয়।তার দিকে তাকিয়ে আছে তার বউ এবং এক বছরের ফুটফুটে মেয়ে আফিয়া।সোহেল দুবছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন।
যেই সোহেল রানা আজ অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সেই সোহেলই হতে পারেন ভবিষ্যৎ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ।তাই আসুন সোহেল রানাকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে আসি সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে। সোহেল রানা ফিরে পাক জীবন,বন্ধুরা ফিরে পাক তার বন্ধুকে,মা-বাবা ফিরে পাক সন্তানকে,স্ত্রী ফিরে পাক স্বামীকে,কন্যা ফিরে পাক তার বাবাকে।আফিয়ার সকাল কাটুক বাবার কোলে ঘুরে বেড়িয়ে।
ভূপেন হাজারী বোধহয় সোহেল রানাদের মতো মানুষদের দুর্দশার কথা ভেবেই বলেছিলেন মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য! একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু!
সোহেল রানাকে সহোযোগিতা করতে নিচের দেওয়া ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠান :
ব্যাংক একাউন্টঃ
Account Name:Sohel Rana
Account Number:
1721050083398(DBBL)
বিকাশ/নগদ: 01575026752 / 01796839158
রকেট: 01797868118
ব্যাংক একাউন্ট:
Account Name: Md Aktarul Islam
Account Number: 1721050068148 (DBBL) / 5074010016205 (Rupali Bank Ltd.)
যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে:
মো: আক্তারুল ইসলাম
অর্থনীতি বিভাগ (১৯ ব্যাচ)
হাবিপ্রবি।
মোবাইল: 01575026752 / 01611078939
অথবা
স্বপন চন্দ্র রায়
মোবাইল: 01516079350
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়