আগামী ১৮ আগস্ট থেকে ক্লাস, পরীক্ষা এবং ১২ আগষ্ট থেকে আবাসিক হল চালুর নোটিশ দিয়ে পদত্যাগ করেছেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি । বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে আজ দুপুরে রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন । ইতিমধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা আরও কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত সোমবার ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারত চলে গেলে রাতেই সাড়ে নয়টায় একটি গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ফটক দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন উপাচার্য। সেখানে তাঁর পথরোধ করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা বাকবিতণ্ডতা শেষে তিনি পুনরায় নিজ বাসভবনে ফিরে যেতে বাধ্য হন। পরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান তিনি।
সাবেক এই উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান ক্লাস, পরীক্ষা এবং হল খোলার বিষয়ে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এতদ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার এক সরকারী ঘোষণার প্রেক্ষিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষা কার্যক্রম ( পরীক্ষাসহ) আগামী ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখ হতে শুরু হবে। এপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ আগামী ১২ আগস্ট ২০২৪ তারিখ তারিখ হতে খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরি নীতিমালা ২০০৩ এর আলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হল সমূহে শিক্ষার্থীদের আবাসন কার্যক্রম চলমান থাকবে।”
এর আগে গত ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য রেজিস্ট্রার প্রক্টরসহ দপ্তর সমূহের পরিচালকগণ এর পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নাঈম/রুশু//