গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেনমার্কের সঙ্গে উত্তেজনা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দ্বীপটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দাবি করেছেন। এর ফলে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রাম্প, যিনি আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, বলেছেন যে এই লক্ষ্য পূরণে তিনি সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মঙ্গলবার তার বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র গ্রিনল্যান্ড সফর করেছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে।
এদিকে, ডেনমার্কের রাজার সঙ্গে বৈঠকের জন্য কোপেনহেগেনে পৌঁছেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেডে। যদিও প্রথমে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ডেনমার্কের রাজকীয় আদালত পরে নিশ্চিত করে যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈঠকের বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, “বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” এর প্রতিক্রিয়ায় গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, “গ্রিনল্যান্ড আমাদের। এটি বিক্রির জন্য নয়, এবং কখনো হবে না। আমরা স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা রক্ষা করব।”
উল্লেখ্য, ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গ্রিনল্যান্ডে মাত্র ৫৬ হাজার ৫৮৩ জনের বসবাস, যার ৯০ শতাংশই ইনুইট জনগোষ্ঠীর। যদিও ভৌগোলিকভাবে এটি উত্তর আমেরিকার অংশ, দ্বীপটি ডেনমার্কের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ হিসেবে পরিচালিত হয়।
আরএস