১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন। তবে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে জয় পান বিএনপির নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
পরবর্তীতে তিনি চারবারের সংসদ-সদস্য হন এবং দলীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে, তার ছেলে ইসরাফিল মাহমুদ চৌধুরীও একই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে আমির খসরু যদি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন পান, তাহলে চট্টগ্রাম-১১ আসনটি তিনি তার ছেলের জন্য ছেড়ে দেবেন—এমনটাই দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ফলে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বাবা-ছেলের কৌশলগত অবস্থান বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইসরাফিল ইতোমধ্যে দলের নানা কার্যক্রমে সক্রিয় হয়েছেন এবং নির্বাচনী মাঠে তার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিএনপির তৃণমূল নেতারা মনে করেন, এ আসনে আমির খসরুর বিকল্প নেই। তবে তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকেও মনোনয়ন চাইছেন, ফলে এ আসনে তার ছেলে ইসরাফিল খসরু মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। ইসরাফিল জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। অন্যদিকে, জামায়াত থেকে প্রার্থী হচ্ছেন চসিকের সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম। তিনি এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংমুক্ত নিরাপদ এলাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের তৎপরতাই এখন সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ, প্রধান সমুদ্রবন্দর, ইপিজেড, বিমানবন্দর ও তেল শোধনাগারসহ জাতীয় স্থাপনা অবস্থিত। ১৯৯১ সালে এই আসনে (তৎকালীন চট্টগ্রাম-৮) খালেদা জিয়া নির্বাচিত হলেও আসন ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে জয় পান বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও জয়ী হন। তবে ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের এমএ লতিফ জয়ী হলেও বিতর্কিত নির্বাচন, জমি দখল ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সমালোচিত হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে।