বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহাল এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে গত ৬ এপ্রিল রবিবার জিগাতলায় বিজিবির ৪নং গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও সফল না হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের পাঁচজন সদস্য পিলখানার ৪নং গেটে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন, তবে তারা মহাপরিচালকের সাক্ষাতের অনুমতি পাননি। স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর আশ্বাসে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এরপর সাবেক বিডিআর সদস্য মো. মাহাবুবুর রহমান অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন, তিনি জানান যে, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
স্মারকলিপিতে বিডিআর সদস্যরা উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর তাদের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের বিনা বিচারে বন্দি করা হয় এবং তারা চাকরিচ্যুত হন।
তারা দাবি করেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের দিন দেশের অন্যান্য বিডিআর ক্যাম্পে শান্তি বজায় ছিল, তবে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী বিভিন্ন ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যার ফলে কিছু বিডিআর সদস্য নিরাপত্তাহীনতা থেকে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, যা “বিদ্রোহ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
স্মারকলিপিতে তাদের এক দফা দাবি তুলে ধরা হয়: পিলখানার ভেতরে ও বাইরের ইউনিটের বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের অবৈধ রায় বাতিল করে সব চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরও বলেন, চাকরিচ্যুতির কারণে তারা শুধু পেশাগতভাবে নয়, সামাজিক, পারিবারিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তাদের পরিবারগুলোর মধ্যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার কারণে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি তুলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন, যদি তাদের দাবি পূরণ না করা হয়।