বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে এটি দ্রুতই কমে আসবে। তিনি বলেন, ব্যবসা সহজতর করতে সরকার সব ধরনের বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালের মজুত ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, বর্তমানে সরকারি খাদ্য মজুত বারো লাখ টনের বেশি। চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আসার পাশাপাশি অন্য দেশ থেকেও চাল সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার বহুমুখী উৎস থেকে চাল আমদানি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দামের পার্থক্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এর সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে এবং শিগগির চালের দামও কমবে।
অন্যদিকে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে টিসিবি ও অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষকে চাল প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
চাল আমদানিকারক আদিত্য মজুমদার বলেন, এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা সীমিত হওয়ায় আমদানিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসময় তিনি এলসি মার্জিন কমানোর দাবি জানান।
চাল ব্যবসায়ী নাজির প্রধান স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান জানান, খাদ্যপণ্যের এলসি খোলার প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোকে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম হলে তা তদন্ত করা হবে।
সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।