নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির (জয়-লেখক) সাবেক উপ- অর্থ সম্পাদক আতিকুল ইসলামের মাদক ব্যবসা ও তার মাদক সিন্ডিকেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সম্পাদক আসমাউল হুসনা (মোনালিসা) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ২১ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার) একটি পোস্ট দেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগ নেত্রী মোনালিসা বলেন,,
“মো. আতিকুল ইসলাম উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক (জয়-লেখক) কমিটি। গত কমিটির তিনি সহ আরো বেশ কয়েকজন ভয়াবহ নেশাগ্রস্থ৷ মো.আতিকুল ইসলাম সহ তার সিন্ডিকেটের জীবিকা অর্জনের প্রধাণতম মাধ্যম হচ্ছে ফেনসিডিল এর ব্যবসা, এ ছাড়াও তারা মাঝে মাঝে বড় বড় গাজার চালান নিয়ে আসে, এগুলো ছাড়াও তাদের আরো অবৈধ ব্যবসা আছে। আমি আমার ব্যক্তিজীবনে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সকলেই ভুল করে। কিন্তু সেই ভুল থেকে আমি বহু আগে সরে গিয়েছি।
আমার ব্যাক্তিজীবন যদি কেউ নষ্ট করতে চায় সোজা বাংলা কথায় আমি বলে দিচ্ছি মো.আতিকুল ইসলাম সহ আরো অনেকে ভয়াবহ ভাবে ফেসেঁ যাবেন।
এবং আমি আর কারো সম্মানের কথা ভাববো না। প্রমাণাদি নিয়ে আমি মিডিয়ার সামনে আসব। আপনাদের এহেন কোন কুকর্ম নেই যে আমি জানি না বা আমার কাছে তার প্রমাণ নাই, সাবধান যেকোন সময় প্রমাণাদি মার্কেটে চলে আসতে পারে
এই ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম এক্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি
অতিশীঘ্রই এসকল দুষ্ক্রীত কারীদের আইনের আয়তায় আনা হবে।”
এই স্ট্যাটাস দেয়ার কয়েক ঘন্টা আগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল ইসলাম নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে বলেন,,,
“আমি তোমাকে ভালোবাসি, এটা চরম একটা মিথ্যাচার। তাই ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর বউ এর সাথেই প্রেমটা করবো,আর আমরা বিয়ে করে কয়েকটা বছর অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি।কিন্তু অবশেষে ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা কিনতে পারলাম না, কারন কারও হৃদয় দেখা যায় না। সামনে কি হবে তা অজানা….
কারন সে কি চাই নিজেও জানেনা,শুধু তার পরিবারের দোহায় দায় তাই আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনা।আর আনুষ্ঠানিকতা করতে না পারার জন্য সকলের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত!”
উল্লেখ্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। এবং ছাত্রলীগ নেত্রী মোনালিসা ঢাকা মেডিকেল কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি রংপুরে।
সূত্র জানায়, জয়- লেখক কমিটির সময়ে তারা বিয়ে করেন। তবে, হঠাৎ কেনো উভয়েই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায় নি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী মোনালিসার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো প্রতিউত্তর পাওয়া যায় নি।