জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মচারি-কর্মকর্তাদের সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির কথা জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল।
এসময় ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের পাশাপাশি অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান সমন্বয়করা। তারা প্রশাসন ও পুরো প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ এবং কোটা আন্দোলনে হামলায় জড়িত সকল হল প্রভোস্ট ও শিক্ষকের পদত্যাগেরও দাবি জানান।
আরিফ সোহেল বলেন, কোটা আন্দোলনে আমাদের নয় দফার অন্যতম দাবি ছিল দলীয় লেজুরবৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে জাকসু নির্বাচন দেওয়া। তারই প্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পেয়েছি বিশ্ববিদালয়ে শুধু ছাত্ররাই নয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও লেজুরবৃত্তিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, যা ছাত্র রাজনীতির পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দলীয় রাজনীতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে অবিলম্বে জাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।দেশে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন দলের মতাদর্শের মানুষ থাকবে। তবে নতুন দেশে নতুন নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সংস্কার করতে সকল দল মত নির্বিশেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্গঠনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে’।
সম্মেলনে সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন,
‘গত ১৫ জুলাই রাতে হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী ও শিক্ষক জড়িত ছিল, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আজীবনের জন্য অবাঞ্চিত করা হবে’।
রবিউল/এমএ//