টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় কোনো অনিয়ম বা লুটপাটে টিউলিপ সুবিধাভোগী প্রমাণিত হলে তাকে বিচারকের মুখোমুখি করতে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগীদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি টিউলিপকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কেমি ব্যাডেনোচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখেন, “টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করা স্টারমারের জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তার বন্ধুকে দুর্নীতি দমন মন্ত্রী বানিয়েছেন, অথচ সেই মন্ত্রীই এখন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।”
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের লেবার পার্টির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।
উল্লেখ্য, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকের নামও উঠে এসেছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তির মধ্যস্থতায় টিউলিপের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে, যদিও সে সময় তিনি কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না।
এছাড়া, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও বোন শেখ রেহেনার নামও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভার ন্যায় ও নৈতিকতা দল ইতিমধ্যে টিউলিপকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
আমাদের বিডিএন ৭১ ইউটিউব ঘুরে আসুন। আরো খবর পড়ুন ।