সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনরায় ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। দলটির জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার এবং রিপাবলিকানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে তহবিল সংগ্রহ ও প্রচারণায় ভূমিকা রাখতে চান ৮২ বছর বয়সী এই নেতা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) নতুন চেয়ারম্যান কেন মার্টিন এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠকে বাইডেন এ বিষয়ে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় বাইডেন দলকে সহায়তা করতে চান। এনবিসির সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করছে, যা ১৯৯০ সালের পর সর্বনিম্ন।
তবে বাইডেনের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার বিষয়ে দলের ভেতরেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে তার বয়স এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পরাজয়ের জন্য তাকে দায়ী করছেন অনেকে। অনেক নেতা মনে করেন, নির্বাচনের কিছুদিন আগে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোয় দলটি সংগঠিত প্রচারণার সুযোগ পায়নি, যা তাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল।
একজন ডেমোক্র্যাট সমর্থক এনবিসিকে বলেন, “জো বাইডেনকে আবার রাজনীতিতে ফেরাতে কে চায়?” তবে দলীয়ভাবে সবাই এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি। ডিএনসির ভাইস চেয়ার জেন ক্লীব বলেছেন, বাইডেন এখনো ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় এবং দলীয় কার্যক্রমে তিনি যুক্ত হতে চাইলে তাকে স্বাগত জানানো হবে।
বর্তমানে বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন বেশিরভাগ সময় ডেলাওয়্যারে কাটাচ্ছেন। তবে দলীয় প্রচারণা ও তহবিল সংগ্রহে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এদিকে, এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ৪০০-রও বেশি বার বাইডেন এবং তার নীতিগুলো নিয়ে সমালোচনা করেছেন। অভিবাসন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ইস্যুতে তিনি তার পূর্বসূরির নীতিকে দায়ী করছেন।
বাইডেন এখনও ট্রাম্পের এসব সমালোচনার প্রকাশ্যে কোনো জবাব দেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি মনে করেন ২০২৪ সালের নির্বাচন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি, যা দলের পরাজয়ের অন্যতম কারণ।