শবে বরাতের ছুটিকে কেন্দ্র করে সাধারণত ব্যস্ত থাকা রাজধানীর সড়কগুলো আজ তুলনামূলক ফাঁকা দেখা গেছে। যেখানে প্রতিদিন যানজটে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সেখানে আজ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ির দেখা মেলেনি। সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, জরুরি সেবা ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি এবং স্বল্প সংখ্যক বাস চলতে দেখা গেছে।
গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রিকশার আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। প্রায় সব সড়কেই রিকশার চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সকাল থেকেই প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত সব জায়গা তুলনামূলক ফাঁকা ছিল। কিছু বাস চলাচল করলেও গণপরিবহনের সংকট ছিল স্পষ্ট। তবে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল ছিল, যদিও সংখ্যায় কম। স্বাভাবিক সময়ে যে রাস্তায় যেতে ১-২ ঘণ্টা সময় লাগত, সেখানে আজ মাত্র ১৫ মিনিটেই গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসী ভিন্নভাবে দিনটি উপভোগ করেছেন। কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন, আবার কেউ রিকশা, সিএনজি কিংবা বাসে করে শহর ঘুরেছেন। স্বল্প দূরত্বের রাস্তায় অনেকেই রিকশায় ঘোরার আনন্দ নিয়েছেন।
রাজধানীর মহাখালী থেকে রিকশায় চড়ে হাতিরঝিল ঘুরতে আসেন রাকিব হোসেন ও রুপা আক্তার দম্পতি। মহাখালী থেকে মগবাজার পর্যন্ত তাদের রিকশা ভাড়া দিতে হয়েছে ২০০ টাকা। তবে ভাড়া কিছুটা বেশি হলেও তারা ফাঁকা রাস্তায় রিকশায় ঘোরার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
রাকিব হোসেন বলেন, “ব্যস্ত জীবনে পরিবারের সঙ্গে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ খুব একটা হয় না। তাই ছুটির দিন পেলেই আমরা ঘুরতে বের হই। শবে বরাতের আজকের দিনটি আমাদের কাছে বিশেষ মনে হচ্ছে।”
এদিকে, রামপুরার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি দীর্ঘদিন এই এলাকায় ব্যবসা করলেও ছুটির দিনে দোকান বন্ধ রেখে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছেন। তার কর্মচারীরাও ছুটিতে নিজেদের মতো সময় কাটাচ্ছেন।
ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক মো. ইমরান বলেন, “ঢাকা যে কত ছোট, তা ছুটির দিনে বুঝতে পারি। আজ সদরঘাট থেকে উত্তরা পর্যন্ত খুব দ্রুত ট্রিপ দেওয়া যাচ্ছে। অথচ অন্যান্য দিনে একই পথে যেতে ২-৩ ঘণ্টা লেগে যায়।”
আরইউএস