খেলার মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ তামিম ইকবালকে দেখতে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেছেন সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা ও মা শিরীন আক্তার।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে তারা হাসপাতালে যান বলে নিশ্চিত করেছে বিসিবির একটি সূত্র।
প্রাণঘাতী পরিস্থিতি থেকে ফিরে এলেও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনায় দেশবাসী, ভক্ত-সমর্থক এবং স্বজনরা। দীর্ঘদিন একসঙ্গে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সতীর্থের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সাকিব আল হাসান।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, “আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু আনন্দে মন ভরে নেই, কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। আমরা একসঙ্গে বহু স্মৃতি গড়েছি, চাই এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।”
তিনি আরও লেখেন, “তামিম, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় শক্তি। দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসার জন্য দোয়া করছি। ইনশাআল্লাহ, খুব দ্রুত তোমাকে আবার বাইশ গজে দেখতে পাব।”
সোমবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথায় কাতরাতে থাকেন তামিম। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হন, তবে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতির সময় আরও অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
দ্রুততার সঙ্গে তাকে কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়, পথে সিপিআর দেওয়া হয়। পরে হৃদযন্ত্রের এনজিওগ্রামে ব্লক ধরা পড়লে স্টেন্ট পরানো হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, কিছুটা উন্নতির দিকে আছেন তামিম এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আরও ৪৮ ঘণ্টা থাকতে হবে তাকে।
হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান জানিয়েছেন, “তামিম এখন ভালো আছেন, খাওয়া-দাওয়া করছেন এবং স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছেন। তবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।”
তবে আপাতত মাঠে ফেরা হচ্ছে না তামিম ইকবালের। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, আগামী তিন মাস তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে।