আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পথে আরও একধাপ অগ্রসর হয়েছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রুশ সংসদের নিম্নকক্ষ ডুমায় একটি আইন পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। এই আইন কার্যকর হলে মস্কো তালেবানকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে পারবে। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাতে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে এখনো কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ অবস্থায় রাশিয়া তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে। গত জুলাইয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে পশ্চিমা দেশগুলো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে একেবারেই অনাগ্রহী। বিশেষ করে নারীদের অধিকারের প্রশ্নে তালেবানের কঠোর নীতিমালা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তানে নারীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ এবং পুরুষ অভিভাবক ছাড়া তাদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র সমালোচনা কুড়িয়েছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক জটিল ইতিহাসের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত সেনারা আফগানিস্তানে অভিযান চালায় এবং মুজাহিদিন যোদ্ধাদের সঙ্গে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়ায়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেন। এই যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়।
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে রাশিয়ার এই অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
আরএস