জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকের সামনে মোটরসাইকেলের হর্ণ না শোনায় এক ছাত্রকে চড় থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা পরাগ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৫-১৬ (১১ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বিচার এবং নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মিনহাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেল থেকে হর্ন দেয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরাগ হোসেন। হর্ন শুনতে না পাওয়ায় তাকে ডেকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গালাগাল করেন। এরপর সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বলেন অভিযুক্ত পরাগ। ভুক্তভোগী ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানানোয় আবার চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন অভিযুক্ত পরাগ হোসেন।
জানা যায়, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে হসপিটালে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত পরাগ হোসেন বলেন, তাকে তেমন মারা হয়নি। বিষয়টা এরকম মারামারির কিছু না। আমি বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় হর্ন দিছি। সে হর্ন শুনেনি। তাই গাড়ি থেকে নেমে কোন ব্যাচ জিজ্ঞেস করে জাস্ট দুইটা থাপ্পর দিয়েছি।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্রের গায়ে হাত তুলা অন্যায়। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং কোন অপরাধীর ঠাঁই জবি ছাত্রলীগে নাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি অভিযোগ গ্রহণ করেছি। আগামীকাল বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বলা হয়েছে।
মো. জুনায়েদ শেখ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়