হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সব নেতা–কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’
শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এই বক্তব্য দেন। ভোর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সমাবেশ চলে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত।
সমাবেশে মামুনুল হক আরও বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন পবিত্র কোরআন ও ইসলামকে কটাক্ষ করেছে। তারা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শাস্তি বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
হেফাজতের নেতারা জানান, মহাসমাবেশে চারটি মূল দাবি তোলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দাবি হলো, সংগঠনের নেতাদের নামে থাকা প্রায় ৩০০ মামলা প্রত্যাহার এবং শাপলা চত্বর (২০১৩), ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফর (২০২১) ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করে আলেমদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়ন বন্ধের দাবি এবং ধর্মবিরোধী গোষ্ঠীর স্বীকৃতি বন্ধ করা।
সমাবেশে হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহমুদুল হক ১২ দফার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যেখানে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা বাড়ানো, আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করাসহ সরকারের প্রতি নানা দাবি পেশ করা হয়।
মামুনুল হক হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘মানবিক করিডরের নামে যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লুণ্ঠনের পাঁয়তারা করা হয়, তাহলে দেশপ্রেমিক জনতা ছাড় দেবে না।’