সাহিত্যকর্মের আড়ালে ছিন্নমূল পথশিশুদের ৩-৪টি পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানিয়ে তা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে হাজার ডলারে বিক্রি করেন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া, যার প্রকৃত নাম টিআই এম ফখরুজ্জামান।
২০১৪ সালের জুনে শিশুদের পর্নোগ্রাফি তৈরি ও পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্টারপোলের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে প্রথম গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় ছয় বছর কারাগারে থাকার পর ২০২১ সালে কারামুক্ত হন টিপু। এরপরও স্বভাব বদলায়নি তার। নজরদারিতে থাকা টিপুকে একই অপরাধে ফের গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে বসেই টিপু কিবরিয়া আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ঢাকার গুলিস্তান, রমনাপার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ছিন্নমূল পথশিশুদের মাত্র পাঁচশত থেকে হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পর্নোগ্রাফির কাজে যুক্ত করতেন তিনি। পরে তাদের অশ্লীল এবং গোপনাঙ্গের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে পাঠাতেন।