প্রভোস্টের অনুমতি ছাড়াই তার বরাত দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী কাজী ফাইজা মেহেজাবিনের বিরুদ্ধে। প্রভোস্ট জানিয়েছেন, ফাইজাকে এমন কিছু করতে বলেননি তিনি।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় শেখ হাসিনা হলের শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী কাজী ফাইজা মেহেজাবিন হলের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি মেসেজ দিয়ে জানান, “যেহেতু সরকারের সিদ্ধান্ত তাই প্রভোস্ট ম্যাম সকলকে হল ত্যাগ করতে বলেছেন। তবে এ বিষয়ে কাউকে জোর করবে না। থাকতে চাইলে আপনারা থাকতে পারবেন। কিন্তুু যেহেতু সরকারী সিদ্ধান্তে হল বন্ধ তাই হলে কোন প্রকার ঝামেলা হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হল প্রশাসন নিবে না। তাই হলে থাকতে হলে নিজ দায়িত্বে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকতে পারবেন।”
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেত্রীর এধরনের মেসেজে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা হল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে হলে অবস্থান করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবর্তনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমেনা ইকরা বলেন, “হল ত্যাগের নির্দেশ হোক বা যে কোন অফিসিয়াল নির্দেশ সেটা অফিস সহকারীর মাধ্যমে নথীভুক্ত হয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছানোর কথা। “এছাড়াও, সারা দেশে আমরা ছাত্রলীগকে বয়কট করছি এবং কাজী ফাইজা মেহেজাবিন এই হলের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এটা জানার পরও হল প্রভোস্ট কীভাবে তাকে আমাদের প্রতিনিধি মেনে নিয়ে এরকম একটি বার্তা পাঠালেন, সে বিষয়ে আমরা তার কাছ থেকে স্পষ্ট জবাব চাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট ড. মেহের নিগার বলেন, “আমাদের একটি অফিসিয়াল ডেকোরাম আছে। হলের অফিসিয়াল কোনো নির্দেশনা দিতে হলে আমি তা আমার হলের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জানাব। আমি কাজী ফাইজা মেহেজাবিনকে এই বিষয়ে কোনো ধরণের তথ্য হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জানাতে বলিনি। বরং সে এ বিষয়ে কল দিয়েছিল বিধায় তার সাথে আমার কথোপকথন হয়েছে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে কিনা বা থাকলেও কোন প্রক্রিয়ায় থাকতে পারবে। এর বাইরে তার সাথে কোনো কথা হয়নি।”
তবে এ ব্যাপারে নানাভাবে চেষ্টা করেও শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী কাজী ফাইজা মেহেজাবিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।