- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল ছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিজয়ের পর শহিদ পরিবার ও আহতদের সেবায় ছুটে বেড়ায় চবি শিক্ষার্থীরা। বন্যার্তদের নিয়ে কী করছে চবিয়ানরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, “অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমরা ছিলাম অগ্রগামী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হয়। আন্দোলনে শহিদের পরিবার ও আহতদের সেবায় আমরা এখনো ব্যস্ত। এরই মাঝে ভারতীয়দের নদী আগ্রাসনের কবলে বন্যায় আক্রান্ত হয় কয়েকটি জেলা। বন্যাতদের সেবায় ইতোমধ্যে আমাদের ছয়টি টিম ত্রাণ সহ ফেনী ও ফটিকছড়িতে পাঠানো হয়েছে। শহর ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচী চলছে। শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণ স্বতস্ফূর্তভাবে আমাদের সাথে এগিয়ে আসছেন। শুক্রবার জুমআর আগে ও পরে ক্যাম্পাসের মসজিদ গুলো থেকে আমরা ত্রাণের জন্য ফান্ড কালেক্ট করেছি। সেই সাথে কেন্দ্রীয় মসজিদে জুমআর পরে বন্যার্ত ও শহিদদের জন্য দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।”
ফাইন্যান্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইসতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, “বন্যার্তদের জন্য গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচী চলমান রয়েছে আমাদের। এরই মাঝে বৃহস্পতিবারে আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছি ক্যাম্পাস। সেবা ও সংগ্রাম সমানতালে চলমান থাকবে আমাদের। এখন আমাদের সময় এসেছে ভারতীয় পণ্য বয়কট করে দেশীয় পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়া। দেশ মানুষের উচিত হবে আক্রান্তদের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করা।”
সোশিওলজি বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী নাওশিন নওয়াল ফাতিমা বলেন, “আগে দেখা যেত, অল্প কিছু দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী সেবামূলক কাজে সক্রিয় করেছে। আলহামদু্িল্লাহ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এবার বন্যার্তদের সেবায় এগিয়ে এসেছে। চবিয়ানদের এই তারুণ্যমাখা পথচলা সত্যিই আনন্দের।”
বন্যার খবর পাওয়ার পর থেকেই বন্যার্তদের সেবায় সক্রিয় হয়ে পরে চবিয়ানরা। আক্রান্ত এলাকায় তারা পাঠাচ্ছে একের পর এক টিম। গণত্রাণ সংগ্রহ করছে পূর্ণ উদ্যম নিয়ে। দোয়ার আয়োজন করছে ক্যাম্পাসের মসজিদগুলোতে। এই তারুণ্যের হাত ধরে গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ, এই প্রত্যাশাই সকলের।
সিয়াম/আরএ