প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানকে ধারণ করে নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৪ তম প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্ণিল আয়োজন জাবিতে ১৪ তম প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে জহির রায়হান মিলনায়তনে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
নাগরিক কোলাহল ও শহুরে যান্ত্রিকতা থেকে একটুখানি হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে মেলার শুরু থেকেই ঢাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকা থেকে স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের দর্শনার্থীদের সমাগম ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বিগত বছরের মতো এবারের মেলায় ছিলো শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও প্রকমতিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাটদর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতাসহ নানান আয়োজন। এছাড়া মেলা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো ও প্রজাপতির অরিগ্যামি প্যারেড আয়োজিত হয়।
এবারের মেলায় প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য বন ও প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন ‘প্লানটেশন ফর নেচারের’ প্রতিষ্ঠাতা সবুজ চাকমাকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির আহমদকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুজিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ২০১০ সাল থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ব্যতিক্রমী প্রজাপতি মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। এবারের মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ‘কিউট’। সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন), আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ বন বিভাগ।
রবি//বিএন