পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আকস্মিক ও বড় ধরনের বন্যার যথাসময়ে পূর্বাভাস নিশ্চিত করতে চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ উজানের দেশগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হবে। এজন্য এসব দেশের সঙ্গে আলোচনা ও যোগাযোগ বাড়ানো হবে এবং জনগণকে সহজ ভাষায় বন্যার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী ও কুমিল্লায় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে সকল বাধা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি ফেনী নদীর মাছের ঘেরসহ অবৈধ দখল উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে হবে এবং হাওরে স্থাপনা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সব পাম্প চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করার তাগিদ দেন।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরসমূহের প্রধানগণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় যৌথ নদী কমিশনের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ব্যবস্থা, হাওর এলাকায় কার্যক্রম এবং গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা এসব প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।