বিকেলের ঘুমানো (ন্যাপ নেওয়া) স্বাস্থ্যের উপর ভালো বা খারাপ প্রভাব নির্ভর করে কীভাবে এবং কতক্ষণ ঘুমানো হচ্ছে তার উপর। এটি সাধারণত ব্যক্তির বয়স, দৈনন্দিন কাজের চাপ, এবং ঘুমের অভ্যাসের উপরও নির্ভরশীল।
বিকেলে ঘুমানোর ভালো দিকগুলো
১. উৎপাদনশীলতা বাড়ায়
- ২০-৩০ মিনিটের একটি ন্যাপ কর্মক্ষমতা, মনোযোগ এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এটি মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করে এবং চিন্তা করার ক্ষমতা উন্নত করে।
২. শারীরিক শক্তি পুনরুদ্ধার করে
- যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুম পান না, তাদের জন্য এটি শক্তি পুনরুদ্ধার করার উপায় হতে পারে।
- ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমায়।
৩. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
- কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ন্যাপ নেওয়া রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে
- বিকেলে ছোট্ট একটি ঘুম বিষণ্নতা বা দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিকেলে ঘুমানোর ক্ষতিকর দিকগুলো
১. রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
- দীর্ঘসময় ধরে বিকেলে ঘুমালে রাতে ঘুমানোর সময় অসুবিধা হতে পারে।
- বিশেষত যদি ঘুমের সময় ৩০ মিনিটের বেশি হয়।
২. ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি (Sleep Inertia)
- দীর্ঘ সময় বা গভীর ঘুমের পর উঠলে ক্লান্তি বা বিভ্রান্তি (grogginess) অনুভূত হতে পারে।
- এটি কাজের গতি ও মানসিক স্বচ্ছতা কমিয়ে দেয়।
৩. মেটাবলিজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
- যারা বিকেলে অতিরিক্ত ঘুমান, তাদের ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি বা মেটাবলিক অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।
সঠিকভাবে বিকেলে ঘুমানোর নিয়ম
- সময়সীমা: ১০-৩০ মিনিট ঘুমানো সর্বোত্তম।
- সময়: দুপুর ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুমানো ভালো। এ সময় শরীরের শক্তি স্তর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমে।
- পরিবেশ: শান্ত, অন্ধকার এবং আরামদায়ক পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
যাদের বিকেলে ঘুমানো এড়ানো উচিত
- যদি রাতে ঘুমানোর সমস্যা থাকে।
- যদি আপনার কাজ বা জীবনধারার কারণে বিকেলে ঘুমানোর অভ্যাস স্বাভাবিক ঘুমচক্র ব্যাহত করে।
- যারা ইনসমনিয়া বা অন্য কোনো ঘুমের রোগে ভুগছেন।
সুতরাং, সঠিক নিয়ম মেনে বিকেলে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে, তবে অতিরিক্ত বা ভুল সময়ে ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত।
আয়নুল/