মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। রোববার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনার গ্রেপ্তার সঠিক হয়নি।”
তিনি আরও জানান, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়ের করা ৭,১৮৪টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ মামলা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন, এবং সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার বসুন্ধরায় নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে ডিবি পুলিশ। সে সময় তিনি ফেসবুক লাইভে ছিলেন। তার দাবি, পুলিশ পরিচয়ধারীরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে, এরপরই তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১২ মিনিটের লাইভটি পরবর্তীতে ডিলিট হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় মেঘনাকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর মেঘনাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিটেনশন আইনে সরকার কাউকে আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক রাখতে পারে, যা মূলত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মেঘনা আলম ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার এবং নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার জন্য তিনি আলোচনায় আসেন।