বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। অফিস সময়েও ডাক্তারের দেখা মিলছে না এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার(২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় যথারীতি অফিস চালু রুমে চলছে ফ্যান, লাইট এসিও কিন্তু ডাক্তারের চেয়ার ফাঁকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সকাল সাড়ে ১০টায় ডাক্তার বের হয়ে গেছেন। দশ জনের অধিক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে গেছেন।
এসময় সেবা নেওয়ার জন্য আটজনের মতো শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এতে সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিভাবে একটা মেডিকেল সেন্টার দুই ঘন্টারও বেশি সময় ডাক্তার বিহীন থাকতে পারে।
এর পর দীর্ঘ প্রায় দুইঘন্টার অপেক্ষায় বেলা সাড়ে ১২টায় মেডিকেলের দায়িত্বরত ডাক্তার ডা.মো. তানজিম হোসেনের দেখা মিলে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা আজকে উপাচার্যের সাথে দেখা করে তাদের বিভিন্ন দাবি দবির কথা জানাতে যান। অফিস ফেলে রেখে কর্মকর্তাদের সাথে দাবি ও তাদের চাহিদার কথা জানাতে উপাচার্য দপ্তরে গিয়েছিলেন ডাক্তার তানজিম।
মেডিকেল সেন্টারের তিনজন ডাক্তারের মধ্যে দুইজনই আছেন ছুটিতে। আর বাকি একজন ডা.মো:তানজিম হোসেন দায়িত্বে থেকেও ছিলেন না অফিসে। ফলে তীব্র গরমে নানা সমস্যায় শিক্ষার্থীরা ডাক্তার দেখাতে আসলেও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে সেবা নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরমান তামিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন সময় মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে ডাক্তার যদি তার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে থাকে আর আমাদের এই তীব্র গরমে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় সেটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য আমার জানা নেই। এতদিন জানতাম মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যায় না। এখন দেখছি ডাক্তারও পাওয়া যায় না। এমন ই যদি হয় তাহলে মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনটা কোথায়?
এক ঘন্টা অপেক্ষার পর সেবা না পেয়ে ফিরে যাওয়া এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সেন্টারে এসে ডাক্তার না পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ফিরে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের কাছে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. মো. তানজিম বলেন, আমিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৫০ জন মতো কর্মকর্তা উপাচার্যের দপ্তরে আমাদের কিছু দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম ১৫-২০ মিনিটে আসতে পারব, কিন্তু আসতে বেশি দেরি হয়ে গেছে। এমনভাবে মেডেকেল ফেলে রেখে বাইরে থাকা দায়িত্বে অবহেলার মধ্য পড়ে কি না? এমন প্রশ্ন বলেন, এটা আসলে আমার দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এমন আর হবে না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।