রুশাইদ আহমেদ, বেরোবি:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতের পূর্বশর্ত।
সোমবার (১৮ মে) সকালে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ‘পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বেরোবি উপাচার্য বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সকল স্তর থেকে অবদান রাখা জরুরি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের জন্য এটি প্রযোজ্য।
এ সময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা এবং স্বচ্ছতা আনতে সম্প্রতি চালু করা ডিজিট্যাল এটেনডেন্স সিস্টেম ও ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেমের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উত্তরাঞ্চলে ভৌগোলিক দিক হতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় এই এলাকার উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুনগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশও উপকৃত হবে এবং এগিয়ে যাবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ হারুন-অর রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক এ. কে. এম আমজাদ হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।
বেরোবি রেজিস্ট্রার বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এডুকেশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান প্রশাসন কাজ করছে। বেরোবিকে এডুকেশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে প্রতিবেশী দেশগুলোর শিক্ষার্থীরাও এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। ডিজিট্যাল এটেনডেন্স সিস্টেম ব্যবহারের ফলে সময়ানুবর্তিতা চর্চার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা উপকৃত হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ ও ড. মোঃ আব্দুর রকিব। আইকিউএসির উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।