যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১০ জন কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে স্বৈরাচারী সরকার এর দোসর বলে আখ্যায়িত করেন । এবং একই সাথে তাদের সকলকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (২রা নভেম্বর)দুপুরে এই দাবি নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন । এছাড়াও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন যে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যবিপ্রবিতে দুনীর্তি এবং ফ্যাসিবাদ কায়েমকারী এইসব কর্মচারী-কর্মকর্তাকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অবিলম্বে অপসারণ না করা হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচিতে নামার ঘোষনা দেন তারা । এছাড়াও নেতারা বলেন, যবিপ্রবির আইন অনুযায়ী, শিক্ষক, কর্মকর্তারা কেউ কোনো প্রকার রাজনীতি করতে পারবেন না । কিন্তু এরপরে ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর এর ইন্ধনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ ,নীল দল এবং স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নামে স্বৈরাচারী সরকারের এইসব দুনীর্তিবাজরা তাবেদারি করে গেছেন । দেশের রাজনীতিক এই পট পরিবর্তন হইলে ও সেইসব দুনীর্তিবাজ এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী দোসরেরা এখনো সকলে তাদের স্বপদে বহাল তবিয়তে আছেন ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন যবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিব আহমেদ শান , ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের আল মামুন লিখন, ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ ফরিদ হাসান এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগরে হান্নান হোসেন ও সজীব হোসেন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে যবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন যে, ‘শিক্ষার্থীরা যে কয়েকজন কর্মচারী ও কর্মকর্তার নামের তালিকা ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তদন্তের সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দোসর বলে আখ্যায়িত হওয়া কর্মচারী ও কর্মকর্তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেপুটি রেজিস্ট্রার এমদাদুল হক, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা উন্নয়ন) ডঃ আব্দুর রউফ , উপ-রেজিস্ট্রার স্ট্রেট শাখা জাহাঙ্গীর আলম, জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুর রশিদ অর্ণব , সেকশন অফিসার সাইফুর রহমান, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুন্সী মনিরুজ্জামান, সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, ডাটা এন্ট্রি এর অপারেটর সরদার ফরিদ আহমেদ, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি শওকত হোসেন সবুজ এবং সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ।