রমাদান মাসে রাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত রয়েছে, যা আল্লাহর নিকট নেকী অর্জনের উপায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষত রাত্রে কিছু ইবাদাত আছে যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে সহায়তা করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাতের কথা উল্লেখ করা হলো:
১. তাহাজ্জুদ নামাজ
রমাদানের রাতগুলোতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টি আল্লাহর কাছে দোয়া করার এবং ইবাদাত করার জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়। এক حدیثে এসেছে:
- “রমাদানে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে পুরস্কার বৃদ্ধি করা হয় এবং বান্দার ইচ্ছা আল্লাহ পূর্ণ করেন।” (আল-বুখারি)
২. কুরআন তিলাওয়াত
রমাদানে রাতের সময়ে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জন করা যায়। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কথা শোনে এবং তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারে।
- “এটাই এক বিশেষ সময়, যখন কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন।”
৩. দোয়া করা
রমাদান মাসে রাতের সময় দোয়া করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে রাতের এক তৃতীয়াংশের সময়, যখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কাছে আসেন, তখন দোয়া গ্রহণযোগ্য হয়।
- “তোমরা রাত্রে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে থাকবে, কারণ এই সময়টি খুবই মেহেরবান।”
৪. ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা)
রমাদানের রাতে ইস্তেগফার করার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায়। এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত, যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার পাপসমূহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহর কাছে ধৈর্য্য ধারণ করে।
- “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।”
৫. সাদকা বা দান করা
রমাদানে রাতের সময় সাদকা বা দান করা অত্যন্ত বরকতময়। যদিও সারা মাসেই দান করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে রাত্রে সাদকা করা বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ।
৬. লাইলাতুল কদর
রমাদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাত হলো লাইলাতুল কদর (শক্তিশালী রাত)। এই রাতটি হাজার মাসের চেয়ে বেশি শ্রেষ্ঠ, এবং এই রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন।
- “লাইলাতুল কদর এক হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।” (সুরা কদর)
এই সমস্ত ইবাদাত রমাদান মাসের রাত্রে করা অত্যন্ত উপকারী। আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভ করতে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে এইসব ইবাদাত সাহায্য করে।
আয়নুল/