দীন ইসলাম রাবি প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্রী-শিক্ষক কান্ডে দুইজন সাংবাদিক ও দুই সমন্বয়কের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঐ নারী শিক্ষার্থী। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্ত দুই সাংবাদিক।
অভিযুক্ত চার জন হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও খবরের কাগজ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম সুমন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও দৈনিক কালবেলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন সজীব এবং সমন্বয়কদের মধ্যে ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) শিক্ষার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব তাহমিদ।
শনিবার (সকাল) ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে ঐ নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, রবিবার (১১মে) বিকালে স্যারের চেম্বারে পড়া বুঝে নেওয়ার জন্য গেলে কয়েকজন সেখানে ঢুকে পড়ে ৷ তারা শরীরে হাত দিলে শরীর থেকে ওড়না পড়ে গেলে একজন ভিডিও করতে থাকে। ভিডিও করা দেখে টেবিলের নিচে তিনি লুকিয়ে যায়। পরে গামছা গায়ে দিয়ে মেয়েটি বাইরে বের হয়ে যায়।
ঐ নারী শিক্ষার্থী আরো অভিযোগ করেন, ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগদ ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথম দিন এটিএম বুথ থেকে চাঁদাবাজির পাঁচ লক্ষ টাকার এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয় । পরেরদিন আরো দুই লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে আজ শনিবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত দুই সাংবাদিক। তারা বলেন, গত ১১ মে (রবিবার) সন্ধ্যায় এক সোর্সের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিক্রমে তারা সেখানে যান। সেখানে গিয়ে রুমের লাইট বন্ধ অবস্থায় টেবিলের নিচে ওই নারী শিক্ষার্থীকে লুকিয়ে থাকতে দেখে। এসময় ছাত্রীটি ভিডিও বা সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন, অন্যথায় তিনি আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে হুমকি দেন।
আর্থিক লেনদেনের কথা অস্বীকার করে তারা বলেন, আমাদের অজ্ঞাতে একটি সোর্সের মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দেখা যায় উক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যেখানে আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুতর গুজব ছড়ানো হয়েছে। ছাত্রী কিংবা শিক্ষক কারো সাথে তাদের কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১১মে) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন বিকেল ৫টার দিকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। কক্ষের ঐ আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত বুধবার (১৪মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।