আজ ৬ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার মধ্য দিয়ে এদিন সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে পালিত হবে পবিত্র শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাত পার করেন ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত শবে কদর হতে পারে। তবে আলেমদের মতে, ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই শবে কদর আসে। শবে কদর উপলক্ষে ২৭ রমজান সরকারি ছুটি রয়েছে।
‘শবে কদর’ একটি ফারসি শব্দ। শব মানে রাত এবং কদর মানে সম্মান বা মর্যাদা। অতএব, শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা সম্মানিত রাত। আরবি ভাষায়, শবে কদর’কে বলা হয় লাইলাতুল কদর। শবে কদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়। এই রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরা নাযিল হয়েছে। এই রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এ রাতে পরবর্তী এক বছরের প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিযিক ইত্যাদির পরিমাণ লাওহে মাহফুজ থেকে নিদিষ্ট ফেরেশতাগনকে লিখে দেওয়া হয়।
মহান আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আঃ)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)
পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, “অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই সকল মুসলিমরা এ রাতে নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।”
পবিত্র রমজান মাসে দেশের অনেক মসজিদে তারাবিহ’র নামাজে কোরআন খতম দেওয়া হয়। আজ পবিত্র শবে কদরে মসজিদগুলোতে খতমে তারাবিহ শেষ করা হবে।
মাহফুজা শাহানা মাইশা
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ