শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৬ই জুলাই) রাত ৪ টায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে সাকিব নামের ২০ ব্যাচের এক ছাত্রকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত মারধর করে ১৭ ব্যাচের ইমন এবং মুক্তার।
জানা যায়, সাকিবকে ৪-৫ জন মিলে মারধর করে। মারার সময় রডও ব্যবহার করা হয়েছে । ১৭ ব্যাচ এর ইমন ছাত্রলীগ পদ প্রার্থী আর মুক্তার প্রথম আঘাত করে নজরুল হলের বি-ব্লকের সিড়ির সামনে। সিড়ির সামনে থেকে মারতে মারতে ওরে ওয়াশরুম পর্যন্ত নিয়ে যায়। ওখানে গোসল খানায়ও কিছুক্ষণ মারধর করে৷ রক্ত বের না করে জখম করার চেষ্টা করে। মারার সময় তার চশমা ভেঙে যায়। সারা শরীরে আঘাত করা হয়। গোপনাঙ্গেও লাথি মারা হয়। ঠিক ভাবে হাঁটতে পারছে না,বাম কানের পর্দা ফেটে গেসে এবং দুই কানেই শুনতে পাচ্ছে না বলে আমাদের জানান।
মারার পর তার ব্যাচমেট আদিল কে দিয়ে রাত ৪ টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে পাঠায়।
এভাবে মারার পর উক্ত ছাত্রলীগ পদপ্রার্থী তার বন্ধুকে ৫০০ টাকা অফার করে এবং নিতে বাধ্য করে।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমনের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পরেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগনেতা ইমন ইতোপূর্বে প্রশ্নফাসের সাথেও জড়িত ছিলো।
হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “আমরা যোগাযোগ করেছি তার সাথে, সে বাসায় চলে গেছে। যে তথ্য তোমরা দিয়েছ, তা হয়তো সঠিক নয়।
অন্যদিকে ১৯ ব্যাচের কৃষি অর্থনীতি অনুষদের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা নাদিরুজ্জামান নিশাত জুনিয়র ২০ ব্যাচের কৃষি অনুষদে শিক্ষার্থী মেসবাউল আলমকে নবাব সিরাজ উদ দ্দৌলা হলের গেটের পাশে থাপ্পর মারেন।
ছাত্রলীগ নেতা নাদিরুজ্জামান নিশাত কর্তৃক মেসবাউল আলমকে মারার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেখানে কয়েকজন ছিল হঠাৎ নিশাত চিৎকার এবং ধমক দিয়ে তাকে থাপ্পড় দেয় এবং হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে কয়েকজন সিনিয়র এসে মেসবাউল কে রুমে যেতে বলে।
ভুক্তভোগী মেসবাউল আলম হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক শেখ মাসুমের সাথে রুমে কথা বলার পর সাংবাদিককে জানায়, এটা অন্য বিষয় তাই নিউজ না করলেই ভালো হয়৷ আমি সিনিয়রের সাথে কথা বলে সমাধান করবো।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা নিশাত বলেন,”এটা আমাদের একটা ইন্টারনাল ইস্যু,ছোটখাটো ধাক্কাধাক্কি। এখানে কোটাবিরোধী আন্দোলন জড়িত না।”
হল প্রভোষ্ট অধ্যাপক শেখ মো. মাসুম বলেন, আমি মেসবাউলের সাথে কথা বলেছি। তারা দুজন একই এলাকার। কোন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ সলে আইনানুসারে হল থেকে বহিষ্কার অথবা আর্থিক জরিমানা করা।