শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪ টায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. রবিউল আলম বুদু। মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে পরলোকগত রাবিয়ানদের স্মরণ করে ৩০ সেকেন্ড নিরবতা পালন করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন (রুয়া) নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রুয়া ঢাকা শাখার নাম দিয়ে একটা এলিট শ্রেণী দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত করছে। তারা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে জীবন সদস্য, সাধারণ সদস্য নিবন্ধন করে। একটা পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে রুয়া দখলে রাখতে চায়।
রুয়া-কে সার্বজনীন সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ঢাকা ক্লাব আর পল্টন অফিসে বসে যারা রুয়াকে পকেট কমিটি বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আজকের এ মতবিনিময় সভা। দল মত নির্বিশেষে সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে রুয়া-কে পুনর্গঠনের দাবি জানান তারা।
সভায় আরো দাবি করা হয়, জীবন সদস্য নিবন্ধন ফি ৫ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার বা আরো কম করতে হবে। সাধারণ সদস্য নিবন্ধন ফি ২ হাজার থেকে কমিয়ে নামমাত্র একটা ফি নির্ধারণ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায়, সার্বজনীন রুয়া পুনর্গঠনের জন্য রবিউল আলম বুদু-কে আহবায়ক করে ১৮ সদস্যের আহবায়ক করা হয়। ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাকি সদস্যদের কমিটিতে অনর্ভুক্ত করা হবে।
এ কমিটি সার্বজনীন রুয়া প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে সমন্বয় সাধন করবে। আগামী নভেম্বর ডিসেম্বর মাসের দিকে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সকলের সমান সুযোগ রেখে সার্বজনীন রুয়া গঠন করবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রাকসুর সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর কবির রানা, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, রাকসুর সাবেক ভিপি রাগীব হাসান মুন্না, রায়হানুর রহমান রায়হান, সারোয়ার জাহান বাদশা(সাবেক এমপি), সাখাওয়াত হোসেন সাকো, সাদাকাত হোসেন খান বকুল, প্রফেসর শেখ ইউসুফ হারুন (সাবেক সচিব) , প্রফেসর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী, লিলি আক্তার, সাইফুল ইসলাম রাসেল, অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শফিক, আতিকুল হক আতিক, কামরুজ্জামান চঞ্চল, জোবায়ের হাসান রুবন, রাকিবুল হক রিপন, মাহবুব রেজা টুকু, জগলুল পাশা, শরীফ মাহমুূদ দীপক, রতন সাহা, অ্যাডঃ মাসুদ, সাবিনা আক্তার, সঞ্জীব কুমার রায়, তৌহিদুর রহমান কল্লোল, ফিরোজা আক্তার, শান্তিরঞ্জন সরকার, গোলাম কিবরিয়াসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ও ২৬ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন রুয়া-র নির্বাচন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। প্রশ্নবিদ্ধ ভোটার তালিকা, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও ভোটার তালিকা সংশোধনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। গত ১৭ এপ্রিল নির্বাচন ও পুনর্মিলনীর জন্য গঠিত তখনকার আহবায়ক কমিটির অসঙ্গতি, নির্বাচনের বিধিবিধান, খসড়া গঠনতন্ত্র সংশোধনসহ নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করে সাবেক ছাত্রনেতারা। এতে ১৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন বিব্রতবোধ করে নির্বাচন ও পুনর্মিলনী আহবায়ক কমিটিসহ নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন রুয়া’ গঠিত হয়।