সোমবার থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কার্যক্রমে প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনী সময়সীমা মাথায় রেখে ইসি এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
রোববার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউএনডিপির সহায়তায় সরঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিইসি এ তথ্য জানান। ইউএনডিপি এ কার্যক্রমে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু হবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এ কার্যক্রমে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে ভোটার এলাকার পরিবর্তন, মৃত ভোটার বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারদের তথ্য ডেটাবেসে সংযোজন করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
সিইসি জানান, ইসির মূল লক্ষ্য একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা, যাতে কেউ বাদ না পড়ে। বিশেষ করে নারী ও তরুণ প্রজন্মের সবাইকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭, নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৩২ জন।
ইসি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হওয়ার চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। ইসি মনে করে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এ ধরনের অপরাধ সম্ভব নয়।
এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।