স্থানীয়দের কর্তৃক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে আন্দোলন করেছ শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১১ ঘন্টা ফটক আটকে রাখার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে তালা খুলেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রাতে চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তার পায়ের উপর দিয়ে সিএনজি চলে যাওয়ায় সিএনজি চালকের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে স্থানীয়দের একাংশ নিয়ে ঐ শিক্ষার্থীকে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বন্ধুরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলেও প্রশাসনের সহযোগিতা না করার অভিযোগে মূল ফটল তালাবদ্ধ করে শিক্ষাথীরা।
পরে প্রায় ১১ ঘন্টা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য ঘটনাস্থলে এসে চলমান সমস্যা সমাধান ও ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আশ্বাস দিলে মূল ফটকের তালা খুলে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন বলেন, আমি রেলক্রসিংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় একটা সিএনজি আমার পায়ের ওপর দিয়ে চাকা চালিয়ে দেয়। তখন সিএনজিচালকের সঙ্গে আমার একটু বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর বাইরে থেকে কিছু ছেলে এসে আমার বাইকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় লেখা দেখেই গালাগালি ও মারধর শুরু করে।
এবিষয়ে চবির সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের দ্বারা বারবার হামলার শিকার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে সিএনজি অটোরিকশাচালকদের এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চক্রাকার বাস চালু করা এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা। আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি গেট খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অথরিটির কাছ থেকে আশ্বাস পেতে।
.