রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার নতুন ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম, তা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো। খবর রয়টার্স।
পুতিন বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বলেন, ওরেশনিক একটি আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরে ২১ নভেম্বর এটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এটিএসিএমএস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুক্তরাজ্যের তৈরি স্টর্ম শ্যাডো ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর পর রাশিয়া পাল্টা জবাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহের জবাবে পুতিন পরামর্শ দিয়েছেন, উভয় পক্ষকে এমন একটি জায়গা নির্বাচন করা উচিত, যা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সুরক্ষায় রয়েছে, এবং সেখানে রাশিয়া তার ওরেশনিক পরীক্ষা চালাবে।
পুতিনের এই বক্তব্য আসে রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক নীতি ঘোষণার পর। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কোনো পরমাণবিক অস্ত্রহীন দেশ যদি কোনো পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশের সহযোগিতায় রাশিয়ার ওপর হামলা চালায়, তবে এটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রাখে।
পুতিন আরও বলেন, নতুন ধরনের সামরিক হুমকি, যেমন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা, রাশিয়ার নীতিতে এই পরিবর্তনের কারণ। তিনি উল্লেখ করেন, যদি রাশিয়াকে হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে আত্মরক্ষার্থে তারা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার রাখে।
বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এ বিষয়ে পশ্চিমাদের কাছ থেকে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি জানি না, তাদের জিজ্ঞাসা করুন।”
আরএস//বিএন