আর মাত্র সপ্তাহ খানেক পরে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ঈদুল আজহায় কোরবানি দিতে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাটার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউবা কিনছেন নতুন দা, বটি, চাকু। আবার কেউ বা পুরনো দা, বটি চাকু ধারালো করতে ভিড় করছেন কামারপল্লীতে। রোববার (৯ জুন) হিলির কামারপল্লীতে আসা দা,বটি ধারা দিতে আসা ব্যক্তিসহ কামারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কথা হয় মো. সোলাইমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আর ক’দিন পরেই ঈদুল আজহা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন হাট ঘুরে কোরবানির পশু খুঁজছি। দাম ও পছন্দ হলে কিনবো। আর কোরবানির পশু জবাই করার পর শরীর থেকে চামড়া খোলা, মাংস কাটার জন্য ধারালো দা, চাকু, বটির দরকার হয়। তাই পুরনো দা, বটি, চাকু ধারালো করার জন্য কামারের কাছে এসেছি।’
সোলাইমান আলী আরও বলেন, ‘এসব কাজ একটু আগেভাগেই করে রাখছি। পরে এসে খুব ভিড় হয়। সময় মতো দিতে পারে না। এজন্য কামারপল্লীতে আসা।’
আরেক ব্যক্তি মো. আব্দুল বাকি বলেন, ‘বছরের একবার কোরবানি এলেই ধারালো, দা, চাকু, বটির প্রয়োজন পড়ে। পরে যে কোথায় রাখা হয়। তা আর খোঁজে পাওয়া যায় না। তাই এবার নতুন করে দা বানানোর জন্য কামারের কাছে এসেছি। সঙ্গে পশুর শরীর থেকে চামড়া খোলার জন্য দুটি নতুন চাকুও বানিয়ে নেবো।’
হিলি খাদ্যগুদাম মোড়ের কামার কৃষ্ণ কুমার বলেন, ‘সারা বছরই টুকটাক কাজ হয়। তবে কোরবানির ঈদের আগে কাজের চাপ বাড়ে। অনেকে আসছেন পুরনো দা,চাকু,বটি ধারালো করতে। আবার অনেকে লোহা নিয়ে আসছেন নতুন দা, বটি ও চাকু তৈরির জন্য। দু’চার দিন পর কাজের চাপ আরও বাড়বে। সময়মতো অর্ডার নেওয়া জিনিসপত্র সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
কৃষ্ণকুমার আরও বলেন, ‘আমরা তো সেই সনাতন পদ্ধতির আগুনের চুল্লিতে আগুন জ্বালিয়ে লোহা গরম করে নিয়ে পিটিয়ে নতুন দা, বটি, চাকু তৈরি করি। আবার একই পদ্ধতিতে ধারালো করি। এজন্য দুই জন লোকের প্রয়োজন হয়। আর কোরবানির সময় আরও দুই জন বেশি লোক নিতে হয়। তাছাড়া সময়মতো অর্ডার নেওয়া দা,বটি, চাকু সরবরাহ করা যায় না।’