১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শুরু আজ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
বাংলাদেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে আজ, ৫ মার্চ। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৫ এপ্রিল এবং শেষ হবে ৯ মে। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য ইউনিটের (এ, বি ও সি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সেকেন্ড টাইমে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা, ২ মে ‘বি’ ইউনিটের এবং ৯ মে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ৯ মে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা হবে বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন শুরু হবে ৫ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে এবং শেষ হবে ১৫ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে।
শুধুমাত্র ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে ইউনিট ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’-তে আবেদন করতে পারবেন।
ইউনিটভিত্তিক আবেদন যোগ্যতা:
– ইউনিট ‘এ’ (বিজ্ঞান): এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০।
– ইউনিট ‘বি’ (মানবিক): এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৬.০০।
– ইউনিট ‘সি’ (বাণিজ্য): এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৬.৫০।
জিসিই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনটি ‘বি’ গ্রেড এবং আইএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় দু’টি ‘বি’ গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে।
আবেদন করার নির্দেশিকা ও বিস্তারিত তথ্য GST গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd) ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
আবেদন ফি ও পদ্ধতি:
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন ফি ১৫০০ টাকা (অনলাইনে)। আর্কিটেকচার ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ফি থাকবে।
পরীক্ষার কেন্দ্র:
নিম্নে প্রদত্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা হতে আবদেনকারী একটি মাত্র কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবে। পছন্দকৃত কেন্দ্রই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। আবেদনের সময়সীমা শেষে কোনভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না।
১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ২ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল ৩. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী ৪. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী ৫. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ ৬. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর ৭. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ৮. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা ৯. গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ ১০. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল ১১ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ১২. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জ ১৩. গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর ১৪, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা ১৫. জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর ১৬, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ ১৭. চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর ১৮. সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ ও ১৯. পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর ও ২০. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাপাসিটি সংখ্যক পরিমাণ)।