৬ জনকে স্থায়ীসহ ৩৩ রাবি শিক্ষার্থীকে নানা মেয়াদে বহিষ্কার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সরাসরি হামলা, র্যাগিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি)
৩৩ জন শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার(২১ ডিসেম্বর) রাতে জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাগিং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা, ষড়যন্ত্র, ইন্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, ভয়ভীতি,
হলে সিট বাণিজ্য এবং গণরুমের ছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক স্লোগান দিতে বাধ্য করা, হলের কক্ষের তালা ভেঙ্গে কক্ষ দখল,
গভীর রাতে ছাত্রীদের ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে মিটিং করা, শিক্ষার্থীদের ব্লাকমেইল করা, শিক্ষার্থীদের জিনিস চুরি,
দুর্ব্যবহার করা, নেশাদ্রব্য সেবন করা, উচ্চস্বরে গান-বাজনা বাজিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো,
৬ জনকে স্থায়ীসহ ৩৩ রাবি শিক্ষার্থীকে নানা মেয়াদে বহিষ্কার আরো পড়ুন
রাতে নিজ কক্ষে নিয়ে গিয়ে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্রে তল্লাশি চালানো, হত্যার হুমকি প্রদান, শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন ও অত্যাচার ইত্যাদি বিভিন্ন অপরাধের ধরণ ও মাত্রাভেদে ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ছাত্রত্ব না থাকলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে।
তাছাড়া ৫ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার, ৪ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার, ২ জনকে ১ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, ১ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা,
১ জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনের আবাসিকতা বাতিল ও ৫ জনের মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে হলে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ব্যতীত মুচলেকার মাধ্যমে হলে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত ৫ জনসহ শাস্তিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আমাদের বিডিএন ৭১ ইউটিউব ঘুরে আসুন। আরো খবর পড়ুন এখনো টিকে আছে ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী নেকমরদ ওরস মেলা।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়